২০২৫ সালের ১৪ মে Nature জার্নালে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক নাসার গবেষণায় চাঁদের নিকটবর্তী এবং দূরবর্তী পৃষ্ঠের মধ্যে গুরত্বপূর্ণ অসমতা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এই মহাকাশযান গবেষণাটি চাঁদের মহাকর্ষ ক্ষেত্রের মানচিত্রায়নকারী GRAIL মিশনের তথ্য বিশ্লেষণ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের নিকটবর্তী পৃষ্ঠটি তাপমাত্রায় উচ্চ এবং ভূতাত্ত্বিকভাবে অধিক সক্রিয়, যা মূলত ওই অংশের ম্যান্টলে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদানের সঞ্চয়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া তাপের ফল।
এই আবিষ্কারটি চাঁদের দুই পৃষ্ঠের ভৌগোলিক পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে সহায়ক, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের মতোই গূঢ় এবং গভীর। পাশাপাশি, এটি আর্টেমিস প্রোগ্রামের মতো ভবিষ্যৎ চাঁদ অভিযানের জন্য নেভিগেশন ও অবতরণ পরিকল্পনায় একটি মজবুত ভিত্তি প্রদান করে।
গবেষণায় ব্যবহৃত পদ্ধতিটি অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুতেও প্রয়োগযোগ্য, যা মহাকাশ গবেষণায় একটি নতুন ধারা সূচিত করছে — কিভাবে অভ্যন্তরীণ গঠন পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য প্রভাবিত করে।
চাঁদ আজও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু, এবং এই গবেষণা তার ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস ও পৃথিবীর উপর প্রভাব বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক গৌরব ও বৌদ্ধিক অনুসন্ধানের ধারাকে আরও সমৃদ্ধ করে, যা বঙ্গীয় সাহিত্য ও ভাবনার ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।