মহাবিশ্বের গভীরে লুকিয়ে থাকা ব্ল্যাক হোলগুলি আজও বিজ্ঞানীদের কাছে এক বিশাল কৌতূহলের বিষয়। M87* ব্ল্যাক হোল, যা Messier 87 গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত, তার গঠন সম্পর্কে নতুন তথ্য উন্মোচন করেছে সাম্প্রতিক গবেষণা। এই নিবন্ধে, আমরা সেই গবেষণার প্রযুক্তিগত দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করব এবং দেখব কীভাবে এই ব্ল্যাক হোলের বলয়াকার আকার তৈরি হয়েছে।
2019 সালে, ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (EHT) M87*-এর প্রথম ছবি তোলে, যেখানে একটি উজ্জ্বল বলয় একটি অন্ধকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের চারপাশে দেখা যায়। এই চিত্র আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বকে সমর্থন করে। কিন্তু বলয়ের আকার নিয়ে বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হন। পরবর্তী গবেষণায় জানা যায় যে, এর কারণ ব্ল্যাক হোলের চারপাশের প্লাজমার অস্থিরতা। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে, আসুন কিছু প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করি।
গবেষণা অনুসারে, M87*-এর বলয়ের সামান্য প্রসারিত আকারের জন্য ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ বা ঘূর্ণন দায়ী নয়। বরং, এর কারণ হল ব্ল্যাক হোলের চারপাশে থাকা প্লাজমার অস্থিরতা। যেমন, 2018 সালের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এই উপবৃত্তাকার আকারের প্রধান কারণ হল প্লাজমার অস্থিরতা। এছাড়াও, এপ্রিল 2023-এ মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে চিত্রের রেজোলিউশন আরও উন্নত করা হয়েছে, যা M87* এবং এর পরিবেশের আরও স্পষ্ট চিত্র সরবরাহ করেছে। এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলি ব্ল্যাক হোল এবং তাদের চারপাশের পদার্থের মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে।
এই গবেষণার ফলস্বরূপ, বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে M87* ব্ল্যাক হোলের ভর সূর্যের ভরের প্রায় 6.5 বিলিয়ন গুণ বেশি। এছাড়াও, এই ব্ল্যাক হোলের ব্যাস প্রায় 2.5 ট্রিলিয়ন কিলোমিটার। এই বিশালতা আমাদের মহাবিশ্বের জটিলতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ভবিষ্যতে, এই ধরনের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ ব্ল্যাক হোল এবং তাদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য সরবরাহ করবে, যা মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।