২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে, নাসার ডার্ট মিশন সফলভাবে ডিমোরফস গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে, এই মিশনের ফলস্বরূপ অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা ভবিষ্যতে গ্রহাণুdeflection প্রচেষ্টা আরও জটিল করে তুলেছে। আসুন, প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনার গভীরে যাওয়া যাক।
ডার্ট মহাকাশযানের ধাক্কায় ডিমোরফোস থেকে কমপক্ষে ৩৭টি পাথর ছিটকে পড়েছিল, যার মধ্যে কিছু পাথরের ব্যাস ছিল ২২ ফুট পর্যন্ত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পাথরগুলো দুটি আলাদা গুচ্ছে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল, যা আগে ধারণা করা হতো তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল প্রভাবের ইঙ্গিত দেয় । এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে, গ্রহাণুdeflection-এর কৌশল আরও সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করতে হবে। ডার্ট মিশনের ডেটা বিশ্লেষণ করে, বিজ্ঞানীরা এখন গ্রহাণুগুলির গঠন এবং তাদের উপর আঘাতের প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA)-এর Hera মিশন, যা ২০২৬ সালে শুরু হওয়ার কথা, ডার্ট মিশনের প্রভাবের আরও গভীর বিশ্লেষণ করবে। এই মিশনটি ডিমোরফোসকে আরও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং আঘাতের ফলে তৈরি হওয়া গর্তের গঠন ও বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করবে । এই ডেটা গ্রহাণুdeflection-এর ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যেমন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাও এই ধরনের মিশনের ডেটা বিশ্লেষণ করে গ্রহাণুdeflection প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের মিশনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে, আমরা আমাদের গ্রহকে মহাজাগতিক বিপদ থেকে রক্ষা করতে আরও সক্ষম হব।