সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে আকাশ দেবী নাট-এর প্রাচীন মিশরীয় চিত্রণগুলি কীভাবে মানুষ আকাশগঙ্গা দেখত সে সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিতে পারে। জ্যোতির্পদার্থবিদ ওর গ্রাউর ৫৫৫টি প্রাচীন মিশরীয় কফিন থেকে নাট-এর ১২৫টি ছবি বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি কালো রেখা তার নক্ষত্র-ঢাকা শরীরকে দ্বিখণ্ডিত করেছে। এটি সম্ভবত গ্রেট রিফ্টকে উপস্থাপন করে, যা আকাশগঙ্গার মধ্যে ধুলোর একটি অন্ধকার ব্যান্ড।
মিশরীয় পুরাণ অনুসারে, নাট পৃথিবীর দেবতা গেব-এর উপরে খিলান তৈরি করে, আকাশ তৈরি করে এবং প্রতি রাতে সূর্য দেবতা রা-কে গ্রাস করে। নাট সরাসরি আকাশগঙ্গার প্রতিনিধিত্ব না করলেও, আকাশগঙ্গা আকাশের মতো তার শরীরকে সজ্জিত করা মহাজাগতিক উপাদানগুলির মধ্যে একটি হতে পারে। গ্রাউরের বিশ্লেষণ, যা ৩০ এপ্রিল, ২০২৫-এ জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল হিস্টরি অ্যান্ড হেরিটেজ-এ প্রকাশিত হয়েছে, পরামর্শ দেয় যে প্রাচীন মিশরীয়রা সম্ভবত আকাশগঙ্গাকে একটি "সর্পিল জলপথ" হিসাবে মনে করত।
আবিষ্কারের তাৎপর্য
এই গবেষণা প্রাচীন মিশরীয় মহাবিশ্ববিদ্যা এবং রাতের আকাশের প্রতি তাদের ধারণাকে আরও গভীর করে। এটি প্রস্তাব করে যে মিশরীয়রা আকাশগঙ্গাকে চিনেছিল এবং তাদের ধর্মীয় এবং শৈল্পিক উপস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল, যা বিভিন্ন সংস্কৃতি কীভাবে মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করে তার একটি অনন্য দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। এই গবেষণাটি অতীতের লুকানো জ্ঞান উন্মোচন করতে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যাকে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণের সাথে একত্রিত করে আন্তঃবিভাগীয় পদ্ধতির গুরুত্বের উপর জোর দেয়।