নাসার IRAS মিশন (১৯৮৩) এবং জাপানের AKARI স্যাটেলাইট (২০০৬-২০০৭) থেকে আর্কাইভাল ইনফ্রারেড ডেটা বিশ্লেষণ করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সম্ভাব্য প্ল্যানেট নাইনের একটি প্রার্থীকে চিহ্নিত করেছেন। এপ্রিল ২০২৫-এ প্রকাশিত গবেষণাটি একটি অস্পষ্ট, ধীর-গতির বস্তুকে তুলে ধরেছে যা আমাদের সৌরজগতের বাইরের প্রান্তে লুকিয়ে থাকা দীর্ঘ-অনুমানিত গ্রহ হতে পারে।
টেরি লং ফানের নেতৃত্বে গবেষণা দল দুটি ইনফ্রারেড সমীক্ষার ডেটা তুলনা করার দিকে মনোনিবেশ করেছে, যা ২৩ বছর ধরে পৃথক ছিল, যাতে দূরবর্তী গ্রহের প্রত্যাশিত ধীর গতি প্রদর্শন করে এমন অস্পষ্ট বস্তুগুলিকে চিহ্নিত করা যায়। AKARI-এর ফার-ইনফ্রারেড মাসিক অপরিশোধিত উৎস তালিকা (AKARI-MUSL) এর তাদের বিশ্লেষণে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থী প্রকাশিত হয়েছে, যা প্ল্যানেট নাইনের জন্য পূর্বাভাসিত উজ্জ্বলতা এবং দূরত্বের প্যারামিটারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সূর্য থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ AU (জ্যোতির্বিদ্যাগত একক) এর মধ্যে অবস্থিত বলে অনুমান করা হয়, যার ভর পৃথিবীর ভরের ৭ থেকে ১৭ গুণ।
যদিও এই আবিষ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে বস্তুটির কক্ষপথ এবং প্রকৃতি নিশ্চিত করার জন্য আরও পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ফলো-আপ অধ্যয়নের জন্য ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা (DECam) এর মতো যন্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন। প্ল্যানেট নাইন নিশ্চিত করা সৌরজগতের গঠন এবং গ্রহের গঠনের মডেল সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে বিপ্লব ঘটাবে, সম্ভবত ট্রান্স-নেপচুনিয়ান বস্তুগুলির অস্বাভাবিক ক্লাস্টারিং ব্যাখ্যা করবে এবং আমাদের নিজস্ব সৌরজগতে একটি "সুপার-আর্থ" ধরণের গ্রহ যুক্ত করবে, যা অন্যান্য নক্ষত্রজগতে সাধারণ।