দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা এবং এর কারণগুলো নিয়ে একটি গভীর বিশ্লেষণ করা হলো। কোরিয়া আবহাওয়া প্রশাসন (কেএমএ) এই ঘটনাকে 'শতবর্ষের দুর্যোগ' হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন বৃষ্টিপাতের সাক্ষী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৭ সালের পর এই বছর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেওসান প্রদেশে একদিনে ৪০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৯৯৯ সালের আগের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছে এবং ১,০০০ জনের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, গওয়াংজুতে রাস্তাঘাট ও ভবনগুলো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অতিবৃষ্টির মূল কারণ হলো শীতল ও শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আর্দ্রতার সংঘর্ষ। ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।