নাসা মঙ্গলের বুকে ৩২৮ ফুট চওড়া একটি রহস্যময় গর্তের ছবি প্রকাশ করেছে, যা এলিয়েন প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছে। মার্স রিকনেসান্স অরবিটার ২০১৭ সালে ছবিটি তুলেছিল, যা নাসার 'অ্যাস্ট্রোনমি পিকচার অফ দ্য ডে'র অংশ হিসেবে শেয়ার করা হয়েছে।
নাসার গবেষকরা মনে করেন, এই ধরনের গর্তগুলি বিশেষভাবে আগ্রহের, কারণ এগুলি ভূগর্ভস্থ বিস্তৃত গুহার দিকে যাওয়া সুড়ঙ্গের প্রবেশদ্বার হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়া এই সুড়ঙ্গগুলি মঙ্গলের রুক্ষ পৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত, যা তাদের মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য ভালো আশ্রয়স্থল করে তুলতে পারে।
ভবিষ্যতে অনুসন্ধানের সম্ভাবনা
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, এই ধরনের গর্তগুলি মঙ্গলের কঠিন পরিবেশ থেকে প্রাণের সুরক্ষা দিতে পারে, যেখানে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডলের অভাবে উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ রয়েছে। এই কারণে মঙ্গলের পৃষ্ঠ বসবাসের অযোগ্য, তাই বিজ্ঞানীরা ভূগর্ভস্থ পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন, যেখানে স্থিতিশীল ও প্রাণধারণের উপযোগী পরিস্থিতি থাকতে পারে।
নাসা মনে করে, এই গর্তগুলি ভবিষ্যতে রোবোটিক মিশন এবং এমনকি মানুষের অনুসন্ধানের জন্য প্রধান স্থান হতে পারে। যেহেতু এগুলি চরম তাপমাত্রা, ধূলিঝড় এবং সৌর বিকিরণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে, তাই এগুলি নভোচারীদের জন্য আদর্শ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করতে পারে।
ভূগর্ভস্থ আবাস
মার্স গ্লোবাল কেভ ক্যান্ডিডেট ক্যাটালগ মঙ্গলের সম্ভাব্য সমস্ত গুহার সন্ধান রাখছে। সরাসরি পরিদর্শন ছাড়া গুহার প্রবেশপথ এবং গর্তের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন, এবং গ্রহের পৃষ্ঠের নীচে গুহাগুলি কতটা বিস্তৃত, তাও জানা অসম্ভব।
গর্তটির কারণ স্পষ্ট নয়, তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর চারপাশে থাকা গোলাকার খাদটি ইঙ্গিত দেয় যে এটি উল্কাপাতের কারণে তৈরি হয়েছে।