একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রকাশ করেছে যে হাঙর মানুষের সাথে যোগাযোগের সময় আত্মরক্ষামূলক প্রক্রিয়া প্রদর্শন করে। এটি হাঙরকে সম্পূর্ণরূপে সহজাত শিকারী হিসাবে দেখার ঐতিহ্যবাহী ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।
জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন কনজারভেশন সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণাটি ইঙ্গিত করে যে হাঙর, যখন হুমকির সম্মুখীন হয়, তখন শিকারী আচরণের পরিবর্তে প্রতিবর্তিত আক্রমণে জড়িত হয়। এই প্রতিরক্ষামূলক কামড় প্রায়শই ছোটখাটো আঘাতের কারণ হয় এবং মানুষের আগ্রাসী হিসাবে বিবেচিত কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া, যেমন স্পিয়ারফিশিং বা তাদের ধরার চেষ্টা।
গবেষকরা হাঙরের কামড়ের ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন, যার মধ্যে 2009 থেকে 2023 সালের মধ্যে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার ঘটনাগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে প্রায় 3-5% কামড় আত্মরক্ষার কারণে হয়েছিল। ডঃ এরিক ক্লুয়ার মতো বিশেষজ্ঞরা হাঙরকে সম্মান করার এবং তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে তাদের উস্কে দিতে পারে এমন কাজগুলি এড়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
হাঙরের আচরণ বোঝা
গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে যে কিছু হাঙর প্রজাতি, যেমন ধূসর রিফ হাঙর, আঞ্চলিক এবং মানুষের অনুপ্রবেশের প্রতি প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। হাঙর বিপদ অনুভব করলে, প্রকৃত আক্রমণের আগেও এই প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া শুরু হতে পারে।
গবেষকরা জনসাধারণকে হাঙরের সাথে যোগাযোগ এড়াতে অনুরোধ করেছেন, এমনকি যদি তারা নিরীহ বা বিপদে থাকে, কারণ কোনও শারীরিক যোগাযোগকে আগ্রাসন হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হতে পারে।
সংরক্ষণের জন্য প্রভাব
হাঙরের কামড়ের পেছনের উদ্দেশ্যগুলি বোঝার মাধ্যমে, বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং হাঙর সংরক্ষণে উৎসাহিত করতে চান। সঠিক রিপোর্টিং এবং জনসাধারণের ধারণার পরিবর্তন হাঙর সম্পর্কে কুসংস্কার কমাতে এবং আরও সম্মানজনক সহাবস্থান গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।