একটি সাম্প্রতিক গবেষণা পৃথিবীর মিঠা জলের সঞ্চয় হ্রাসের বিষয়ে আলোকপাত করেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে। সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কি-ওন সিও-এর নেতৃত্বে গবেষকরা ২১ শতকের শুরু থেকে স্থলভাগের জল সঞ্চয়ে উল্লেখযোগ্য হ্রাস খুঁজে পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে জলবাহী স্তর, হ্রদ, নদী এবং মাটির জল।
বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি স্থল ও সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে এই হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যা বিশ্বব্যাপী খরার ঘটনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। স্যাটেলাইট মাধ্যাকর্ষণ পর্যবেক্ষণ, মাটির আর্দ্রতা মূল্যায়ন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পরিমাপ এবং ২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর ঘূর্ণন পরিবর্তনের বিশ্লেষণের মাধ্যমে, দলটি ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে স্থলভাগের জল সঞ্চয়ে প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন হ্রাস পেয়েছে। এটি বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩.৫ মিলিমিটার বৃদ্ধির সমান।
বিশেষভাবে, ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মাটির আর্দ্রতা হ্রাস দ্রুত কমে যায়, যা গ্রিনল্যান্ডের বরফের গলনের তুলনায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা পরিবর্তিত বৃষ্টিপাতের ধরন এবং বর্ধিত বাষ্পীভবন এবং প্রস্বেদনের মাধ্যমে জল হ্রাস করে। পরিবেশ বিজ্ঞানী ক্যাথরিন জ্যাকবস এই পরিবর্তনের কারণে শুষ্ক এবং ভেজা অঞ্চলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের উপর জোর দিয়েছেন। গবেষণাটি ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর অক্ষের উপর তাদের প্রভাবের মধ্যে সংযোগগুলি বোঝার জরুরি প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, কারণ ভবিষ্যতের তাপমাত্রার প্রক্ষেপণের সাথে মাটির জলের হ্রাসের প্রবণতা বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যা বাস্তুতন্ত্রের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি ডেকে আনবে।