সেনেগাল সরকার এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০২৫ সালের জুলাই মাসে 'সারাগওয়া' প্রকল্পে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য সাহেল অঞ্চলে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা।
২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে, সেনেগালে প্রায় ৩৪০,০০০ হেক্টর বনভূমি হারিয়েছে, যার ফলে বনগুলোর কার্বন শোষণের ক্ষমতা প্রায় ৪৬% কমে গেছে। এই পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাধা সৃষ্টি করেছে।
'সারাগওয়া' প্রকল্পের মাধ্যমে ১.৪ মিলিয়ন হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধার এবং ৬৫ মিলিয়ন টন CO₂ নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও, ১.৯ মিলিয়ন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পরিকল্পনা রয়েছে, বিশেষ করে মহিলাদের এবং যুবকদের জন্য।
পরিবেশমন্ত্রী প্রফেসর দাউদা এনগোম উল্লেখ করেছেন, "এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৮০,০০০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত জমি পুনরুদ্ধার করা হবে, যা হাজার হাজার নাগরিকের উপকারে আসবে। এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস, অ-গাছজাত বন পণ্যের মান উন্নয়ন এবং সেনেগালিজ এজেন্সি ফর রিফরেস্টেশন অ্যান্ড দ্য গ্রেট গ্রিন ওয়াল (ASERGMV) এর প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।"
এছাড়াও, স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বনায়ন কর্মসূচিতে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। স্থানীয় জনগণ বনায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে পারছেন।
সারাগওয়া প্রকল্পটি সাহেল অঞ্চলে মরুকরণ এবং জলবায়ু অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে একটি সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করছে। আটটি দেশ—বুরকিনা ফাসো, চাদ, জিবুতি, মালি, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া এবং সেনেগাল—এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে, যা ভূমি পুনরুদ্ধার, স্থানীয় অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং সামাজিক সংহতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
এই ধরনের উদ্যোগগুলি পরিবেশগত পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।