২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের অসমের বকসা জেলার বামুনবাড়িতে একটি নতুন গাছের প্রজাতি, Garcinia kusumae, আবিষ্কৃত হয়েছে। এই গাছটির নামকরণ করা হয়েছে কুসুম দেবীর সম্মানে, যিনি উদ্ভিদবিদের শিক্ষাজীবনের প্রতি তার অবিচল সমর্থন প্রদান করেছিলেন।
এই গাছটি একটি দ্বিপুরুষী (dioecious) চিরসবুজ, যা প্রায় ১৮ মিটার উঁচু পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফুল ফোটায়, এবং মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত ফল পাকে।
ফলটির স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও ঔষধি মূল্য রয়েছে। সূর্যের আলোয় শুকানো ফলের গুড়ো থেকে তৈরি শরবত গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এটি কারিতে ব্যবহৃত হয় এবং ডায়াবেটিস ও পায়খানা রোগের প্রতিকার হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
এই আবিষ্কার অসমের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের প্রতিফলন, যা এই অঞ্চলের উদ্ভিদবৈচিত্র্যের তালিকায় একটি মূল্যবান সংযোজন। এটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।