কেরালায় কৃষি-পর্যটনের উত্থান একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা পরিত্যক্ত জমিকে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করছে। এই পরিবর্তন শুধু পর্যটকদের আকর্ষণ করছে না, বরং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য একটি উজ্জ্বল ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে।
বাজার বিশ্লেষণের তথ্য অনুযায়ী, কেরালায় কৃষি-পর্যটন খাতে ২০২৪ সালে বিনিয়োগ ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে আরও ২৫% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ এই উন্নতির মূল কারণ। ইদুক্কির কেপিএম ফার্ম এবং নীলম্বুরের কাঠির বায়োডাইভারসিটি পার্কের মতো উদ্যোগগুলি প্রমাণ করেছে যে কীভাবে পরিত্যক্ত স্থানগুলিকে, যেমন খনি এবং অনুর্বর জমিকে, লাভজনক পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা যায়, যা উল্লেখযোগ্য মুনাফা তৈরি করে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
কেরালায় কৃষি-পর্যটনে বিনিয়োগ করা সরকারি প্রণোদনা এবং নির্দিষ্ট আর্থিক সহায়তার সুযোগ নিয়ে আসে। পরিবেশ-বান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণের জন্য সরকার মে ২০২৫-এ ৬.০১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা এই খাতের প্রতি তাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রমাণ। এছাড়াও, অক্টোবর ২০২৪-এ বিভিন্ন দায়িত্বশীল পর্যটন প্রকল্পের জন্য ৬.৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এই খাতের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৪-এ কেরালা সেরা আরটি গ্রাম এবং সেরা কৃষি-পর্যটন গ্রামের পুরস্কার জেতার মাধ্যমে জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেছে, যা এই বাজারে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে।
সংক্ষেপে, কেরালায় কৃষি-পর্যটন একটি উজ্জ্বল ব্যবসার সুযোগ, যা ক্রমবর্ধমান পর্যটন চাহিদা, সরকারি সহায়তা এবং পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের দ্বারা সমর্থিত। উদ্যোক্তাদের জন্য, যারা পরিবেশ ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে চান, কেরালায় কৃষি-পর্যটন একটি কৌশলগত এবং লাভজনক পছন্দ হতে পারে।