আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং বাঘ সংরক্ষণাগারে সাম্প্রতিক একটি দ্রুত জীববৈচিত্র্য সমীক্ষায় ৩৬টি গণের ৭০টি অর্কিড প্রজাতি নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা নিশ্চিত করে যে এই উদ্যানটি উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম সমৃদ্ধ অর্কিড আবাসস্থল। ২০২৫ সালের মে মাসে অর্কিড সংরক্ষণবিদ খ্যঞ্জিত গগৈ-এর নেতৃত্বে বন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষায় ৪৬টি পরাশ্রয়ী এবং ২৪টি স্থলজ অর্কিড প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রজাতিগুলির মধ্যে রয়েছে বিরল এবং স্থানীয় অর্কিড যেমন Eulophia kamarupa, Zeuxine lindleyana, এবং Biermannia bimaculata, সেইসাথে Aerides odorata, Bulbophyllum ornatissimum, এবং Phalaenopsis mannii-এর মতো প্রজাতি। এই আবিষ্কারগুলি উদ্যানের বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রকে তুলে ধরে, যেখানে Eulophia dabia এবং Nervilia juliana-এর মতো প্রজাতি নদীর তীরের তৃণভূমিতে উন্নতি লাভ করে এবং Acanthephippium striatum এবং Hetaeria affinis ঘন বনাঞ্চলে উন্নতি লাভ করে।
সমীক্ষার আগে, ১৮ এবং ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে পানবাড়িতে “অর্কিড এবং প্রজাপতি হাঁটা” শীর্ষক একটি সংরক্ষণ প্রচার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই কর্মসূচিতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং খ্যঞ্জিত গগৈ এবং ডঃ মনসুন জ্যোতি গগৈ বিশেষজ্ঞ আলোচনা পেশ করেন। কাজিরাঙ্গার পাখি, প্রজাপতি এবং অর্কিড সম্পর্কে তথ্যপূর্ণ ব্রোশারও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। এই আবিষ্কার কাজিরাঙ্গার পরিবেশগত তাৎপর্য এবং চলমান সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে।