লন্ডনের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরের জীবাশ্মবিদরা একটি নতুন ডাইনোসরের প্রজাতি, *এনিগ্মাকর্সর মলিবার্থউইকে* সনাক্ত করেছেন। এটি উত্তর আমেরিকায়, প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বছর আগে, জুরাসিক যুগের শেষের দিকে বাস করত।
এই তৃণভোজী ডাইনোসরটি আকারে একটি ল্যাব্রাডর পুনরুদ্ধারকারীর মতো ছিল। এর লম্বা পা ছিল, যা এটিকে দ্রুত চলতে এবং বৃহত্তর শিকারীদের থেকে পালাতে সাহায্য করত।
*এনিগ্মাকর্সর মলিবার্থউইকে*-এর জীবাশ্মগুলি ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল, মরিসন ফর্মেশনে পাওয়া গেছে। এই অঞ্চলটি জুরাসিক যুগের শেষের দিকের ডাইনোসরদের প্রচুর জীবাশ্ম রেকর্ডের জন্য পরিচিত। যদিও অনেক হাড় পাওয়া গেছে, মাথার খুলি এবং মেরুদণ্ডের কিছু অংশ পাওয়া যায়নি, যা বিজ্ঞানীদের এর সঠিক দৈর্ঘ্য সম্পর্কে অনিশ্চিত করে তোলে।
*এনিগ্মাকর্সর* নামটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ “এনিগমা” এবং “কর্সর” থেকে, যার অর্থ যথাক্রমে “রহস্য” এবং “দৌড়বিদ”। এটি এই ডাইনোসরের রহস্যময় প্রকৃতি এবং দ্রুত গতিতে চলার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। প্রজাতিটির নামকরণ করা হয়েছে মলি বার্থউইকের সম্মানে, যাঁর অনুদানের ফলে লন্ডনের প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘরে কঙ্কালটি সংগ্রহ ও প্রদর্শিত হতে পেরেছে।
এই আবিষ্কারটি জুরাসিক যুগের শেষের দিকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী ছোট ডাইনোসরদের বৈচিত্র্য সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে, জীবাশ্মবিদরা বৃহত্তর ডাইনোসরদের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছেন। *এনিগ্মাকর্সর মলিবার্থউইকে*-এর মতো আবিষ্কারগুলি এই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীগুলির বাস্তুবিদ্যা এবং বিবর্তনকে আরও ভালভাবে বুঝতে ছোট প্রজাতির অধ্যয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে।
এই আবিষ্কারটি মরিসন ফর্মেশনের জীবাশ্মগত সমৃদ্ধিকেও তুলে ধরে। জুরাসিক যুগের শেষের দিকে পৃথিবীর জীবন সম্পর্কে আরও জানতে এই অঞ্চলে জীবাশ্মের আরও অনুসন্ধান ও অধ্যয়নের প্রয়োজন। *এনিগ্মাকর্সর মলিবার্থউইকে* সম্পর্কিত সম্পূর্ণ গবেষণাটি ২৫ জুন, ২০২৫ তারিখে *রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স* জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।