হাঙ্গেরির এötvös Loránd বিশ্ববিদ্যালয়ের (ELTE) ডাভিদ কারাটসনের নেতৃত্বে গবেষকরা প্রায় ১৩.০৬ মিলিয়ন বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের প্রমাণ আবিষ্কার করেছেন।
এই বিস্ফোরণ, যা "ডোবি বিস্ফোরণ" নামে পরিচিত, ৩,০০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল, যা ম্যাত্রা পর্বতমালার পূর্ব প্রান্ত থেকে টোকাজ পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। এই বিস্ফোরণটি তখনকার পরাতেথিস সাগরের অগভীর জলের কাছ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, যা একটি বিশাল অন্তর্দেশীয় সাগর ছিল।
নিক্ষেপিত পদার্থের পরিমাণ কমপক্ষে ২০০ ঘনকিলোমিটার ধরা হয়েছে, যা এটিকে VEI ৭ স্তরের বিস্ফোরণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে। সমুদ্রের জল ও ম্যাগমার সংযোগ ম্যাগমাকে 'গুঁড়ো' করে ফেলে, যার ফলে সূক্ষ্ম ছাই ও পিউমিস তৈরি হয়। রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ম্যাগমার উৎস একাধিক ছিল।
যদিও বিস্ফোরণটি পানির নিচে ঘটেছিল, অধিকাংশ ছাই জমা স্থলভাগে পাওয়া গেছে। এর প্রমাণ হিসেবে নিম্নস্তরের জমায় উদ্ভিদ অবশিষ্টাংশ যেমন ডাঁটা, পাতা এবং পোড়া গাছের গুঁড়ো রয়েছে। এই অবশিষ্টাংশগুলি প্রাচীন বাস্তুতন্ত্রের এক অনন্য চিত্র তুলে ধরে।
ডোবি বিস্ফোরণ, বিখ্যাত ইপোলাইটার্নোক সাইটের মতো, প্রাচীন পরিবেশকে তৎক্ষণাৎ সংরক্ষণ করেছে। ভবিষ্যতে আরও এমন সাইট আবিষ্কারের প্রত্যাশা রয়েছে, যা উত্তর হাঙ্গেরির আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করবে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ELTE বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-ভৌগোলিক বিভাগের প্রধান ডাভিদ কারাটসন, যেখানে পাঁচটি দেশের বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেছেন।