ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভাতে অবস্থিত একটি বিশাল প্রস্তরক্ষেত্র গুনুং পাডাং নিয়ে ২০২৫ সালেও বিতর্ক চলছে। সাম্প্রতিক আলোচনা এই স্থানটির প্রতি আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করেছে, কিছু গবেষক দাবি করছেন এটি বিশ্বের প্রাচীনতম পিরামিড হতে পারে, যা মিশরীয় পিরামিডগুলির চেয়েও পুরনো। তবে, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ভূতত্ত্ববিদদের মধ্যে এই দাবি অত্যন্ত বিতর্কিত।
২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা, যেখানে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে গুনুং পাডাং ২৫,০০০-১৪,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পুরোনো, সেটি ব্যবহৃত ডেটিং পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগের কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সমালোচকদের যুক্তি, শিলা গঠন প্রাকৃতিকভাবেও হতে পারে এবং ডেটিং সম্ভবত মাটির জৈব উপাদানের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, প্রকৃত মানুষের কার্যকলাপের উপর নয়। বিতর্ক সত্ত্বেও, ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ গুনুং পাডাং-এর গবেষণা পুনরায় শুরু করেছে, সংস্কৃতি মন্ত্রক আরও খনন ও ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছে।
ড্যানি হিলম্যান নাতাউইদজাজার মতো কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে গুনুং পাডাং উন্নত রাজমিস্ত্রির দক্ষতা সম্পন্ন একটি মানবনির্মিত কাঠামো, অন্যরা কংক্রিট প্রমাণের অভাবের কথা উল্লেখ করে সন্দিহান রয়েছেন। এই স্থানে অ্যান্ডেসাইট স্তম্ভ দিয়ে তৈরি সোপানযুক্ত পাথরের গঠন রয়েছে, যা স্থানীয় কিংবদন্তী অনুযায়ী হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা এবং অতিপ্রাকৃত শক্তির ইঙ্গিত দেয়। চলমান গবেষণার লক্ষ্য হল বিতর্কের নিষ্পত্তি করা এবং গুনুং পাডাং-এর আসল প্রকৃতি ও তাৎপর্য নির্ধারণ করা।