প্রায় ২.৫ বিলিয়ন বছর আগে, পৃথিবী একটি বিপর্যয়কর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল যা সমস্ত জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছিল। আগ্নেয়গিরি বা গলিত শিলা কোনও প্রমাণ হিসাবে অবশিষ্ট নেই, কেবল আন্টার্কটিকার বরফের নীচে গভীরভাবে চাপা পড়া মাইক্রোস্কোপিক পাথর রয়েছে। এখন, বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে এগুলি একটি প্রাচীন গ্রহাণুর অবশিষ্টাংশ যা পৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগেই বায়ুমণ্ডলে বাষ্পীভূত হয়ে গিয়েছিল।
গবেষকরা এক মিলিমিটারের চেয়ে ছোট ১২০টি কণা আবিষ্কার করেছেন। এই টুকরোগুলি অলিভিন এবং স্পিনেলে সমৃদ্ধ, যা গ্রহাণু উপাদানের সাধারণ খনিজ। রাসায়নিক বিশ্লেষণ তাদের বহির্জাগতিক উৎস নিশ্চিত করেছে।
অধ্যয়নের লেখকরা উল্লেখ করেছেন, 'এটি কেবল ধুলো নয়। এটি একটি মহাজাগতিক বিপর্যয়ের চিহ্ন যা আমরা আগে লক্ষ্য করিনি।'
অনুমান অনুসারে, প্রায় ১০০-১৫০ মিটার ব্যাসের একটি গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এর বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় নির্গত শক্তি আন্টার্কটিকা সহ বিশাল দূরত্বে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দেয়, যেখানে এটি বরফের আচ্ছাদনের উপর স্থির হয়ে যায় এবং যুগ যুগ ধরে তুষারের স্তরের নীচে চাপা পড়ে যায়।
যদিও কোনও গর্ত নেই, তবে এর পরিণতি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ: এত বড় বিস্ফোরণ জলবায়ুকে প্রভাবিত করতে পারত এবং স্থানীয় বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারত, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধে।
এই আবিষ্কারটি এই ধারণার পক্ষে আরও একটি যুক্তি যে আন্টার্কটিকার বরফ কেবল জমে থাকা জল নয়, এটি পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাসের একটি সংরক্ষণাগার, যার মধ্যে মহাজাগতিক ঘটনাও রয়েছে। প্রতিটি নতুন আবিষ্কারের সাথে, এটি ক্রমবর্ধমানভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে কিলোমিটারের তুষার আমাদের আগের ধারণার চেয়ে বেশি উত্তর ধারণ করে।
পৃথিবী সৌরজগতের সূর্যের দিক থেকে দূরত্বের বিচারে তৃতীয় গ্রহ।