প্রত্নতত্ত্ববিদরা মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণে এরিডু অঞ্চলে (বর্তমান ইরাক) ৬,০০০ বছরের পুরনো একটি সেচ ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছেন। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এই আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়, যা প্রাচীন কৃষকদের অত্যাধুনিক জল ব্যবস্থাপনা কৌশল তুলে ধরে। জিওআর্কিওলজিস্ট জাফর জোথেরি'র নেতৃত্বে এই দলে ছিলেন ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরাকের আল-কাদিসিয়াহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
প্রাচীন এই নেটওয়ার্কে ইউফ্রেটিস নদীর সাথে সংযুক্ত ২০০টিরও বেশি প্রধান খাল এবং ৪,০০০টিরও বেশি ছোট খাল রয়েছে, যা ৭০০ টিরও বেশি খামারকে সেচ দিত। এই ব্যবস্থাটি প্রদর্শন করে যে কীভাবে প্রাচীন জনগোষ্ঠী খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে প্রথম সহস্রাব্দ পর্যন্ত কৃষিকাজের জন্য ইউফ্রেটিস নদী ব্যবহার করত। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শুরুতে ইউফ্রেটিসের গতিপথ পরিবর্তনের কারণে এরিডু অঞ্চলের অনন্য সংরক্ষণ, সেচের দৃশ্যপট অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
গবেষকরা প্রাচীন খালগুলোর মানচিত্র তৈরি করতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ, স্যাটেলাইট চিত্র (১৯৬০-এর দশকের গোপন CORONA স্পাই স্যাটেলাইট ছবি সহ), ড্রোন ফটোগ্রাফি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজ একত্রিত করেছেন। গবেষণা থেকে জানা যায় যে কৃষকরা কৌশলগতভাবে প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য, নদীর পাড় এবং ক্রেভাস স্প্লে সহ, দক্ষতার সাথে জল বিতরণের জন্য ব্যবহার করত। এই প্রকল্পটি ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ইরাক দ্বারা অর্থায়িত হয়েছিল।
আরও গবেষণার লক্ষ্য হল প্রতিটি খালের সময়কাল নির্ধারণ করা এবং মেসোপটেমিয়ার কৃষি পদ্ধতি এবং কৃষি ব্যবস্থাপনার পরিবর্তনগুলি বোঝার জন্য নকশাগুলোর সাথে প্রাচীন কিউনিফর্ম পাঠ্যের তুলনা করা।