নেমাটোড, পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচুর প্রাণী, কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লে একটি অনন্য জীবনধারণ কৌশল অবলম্বন করে। তারা টাওয়ারের মতো কাঠামো তৈরি করে, যা বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো বন্য পরিবেশে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বহু বছর ধরে, এই কৃমি টাওয়ারগুলিকে বাস্তবতার চেয়ে বেশি একটি মিথ হিসাবে বিবেচনা করা হত। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিমেল বিহেভিয়ার (MPI-AB) এবং কনস্টানজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এখন সরাসরি প্রমাণ দিয়েছেন যে এই আচরণ স্বাভাবিকভাবেই ঘটে।
গবেষকরা স্থানীয় ফলের বাগান থেকে পড়া আপেল এবং নাশপাতিতে কৃমি টাওয়ার তৈরির ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করেছেন। এই আবিষ্কার নিশ্চিত করে যে এই কাঠামো শুধুমাত্র একটি পরীক্ষাগার ঘটনা নয়, বরং সম্মিলিত পরিবহনের একটি প্রাকৃতিক উপায়।
দলটি খুঁজে পেয়েছে যে এই টাওয়ারগুলি নেমাটোডের একটি একক প্রজাতি দ্বারা গঠিত, যা কঠিন লার্ভা পর্যায়ে থাকে, যা "ডাউয়ার" নামে পরিচিত। টাওয়ারগুলি সমন্বিত কাঠামো, যা গতিতে একটি সুপারঅর্গানিজম হিসাবে কাজ করে।
টাওয়ারগুলি স্পর্শে সাড়া দিতে পারে, পৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে এবং পোকামাকড়গুলির সাথে লেগে থাকতে পারে, নতুন পরিবেশে ভ্রমণ করতে পারে। পরীক্ষাগার পরীক্ষাগুলি দেখিয়েছে যে সি. এলিগেন্সের প্রাপ্তবয়স্ক এবং লার্ভা উভয় পর্যায়েও এই আচরণ প্রদর্শন করে।
এই গবেষণাটি কীভাবে এবং কেন প্রাণী একসাথে চলে, তা বোঝার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এই গবেষণা সম্মিলিত বিস্তারের বাস্তুবিদ্যা এবং বিবর্তন অধ্যয়নের জন্য সি. এলিগেন্সকে একটি মডেল হিসাবে ব্যবহার করার সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।