স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার প্রতীক বিড়ালরা প্রায়শই তাদের মালিকদের কোলে বসে থাকে, যখন তারা কাজ করে, পড়ে বা বিশ্রাম নেয়। এই আচরণটি যেন তাপ বা আরামের সন্ধান মনে হলেও এর গভীরে তাদের বিড়ালের প্রকৃতির গভীর সম্পর্ক নিহিত।
বিড়ালরা তাদের সেবক বা মালিকের সঙ্গে গভীর বন্ধন গড়ে তোলে, যা তাদের ব্যক্তিত্ব, দৈনন্দিন পারস্পরিক ক্রিয়া এবং পরিবেশগত প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়। পশুচিকিৎসক মলি ডি'ভসের মতে, বিড়ালরা তাদের স্নেহ প্রকাশ করে পা ঘষে, মালিককে চাটে এবং প্রিয় ব্যক্তির পেছনে অবিরত চলে বেড়িয়ে।
একজন মানুষের কোলে বসে বিড়ালরা তাদের এলাকা চিহ্নিত করতে পারে। তাদের পায়ের এবং শরীরের গ্রন্থির মাধ্যমে তারা এমন ফ্যারোমোন নির্গত করে যা কাউকে বা কিছুকে তাদের বলে চিহ্নিত করে। এই আচরণ তাদের নিরাপদ বোধ করায় এবং অন্য প্রাণীদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করে: এই মানুষটি আমার।
বিড়ালরা ঠান্ডার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং রাতে গরম থাকার জন্য মানুষের শরীরের উষ্ণতা খোঁজে। এছাড়াও, তারা তাদের সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য মানুষের পাশে ঘুমালে নিরাপদ এবং কম দুর্বল বোধ করে। মালিকের পরিচিত গন্ধ তাদের নিরাপত্তার অনুভূতি প্রদান করে।
কিছু ক্ষেত্রে, মানুষের কোলে বসা একটি শিখিত বা শর্তাধীন আচরণ হতে পারে। যদি বিড়াল প্রতিবার বসার সময় মনোযোগ ও আদর পায়, তবে ভবিষ্যতে একই ধরনের মিথস্ক্রিয়া পেতে এটি পুনরাবৃত্তি করবে।
সংক্ষেপে, যখন আপনার বিড়াল আপনার কোলে বসে, তা কখনও কখনও অস্বস্তিকর হলেও, এটি একটি বিড়ালের পক্ষ থেকে স্নেহ প্রদর্শনের সবচেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিতগুলোর একটি।