সিঙ্গাপুরের ম্যান্ডাই নেচার-এ একটি বায়োব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিপন্ন প্রজাতিদের জিনগত উপাদান সংরক্ষণে সাহায্য করবে। এই অত্যাধুনিক সুবিধাটি ক্রায়োপ্রিজারভেশন ব্যবহার করে কোষ এবং টিস্যু জমা করে, যা দুর্বল প্রজাতিদের জন্য সুরক্ষা প্রদান করে।
বায়োব্যাঙ্কের প্রধান উদ্দেশ্য হল যত বেশি সম্ভব নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। তারা এই অঞ্চলের হুমকির সম্মুখীন প্রজাতিদের জন্য একটি সুরক্ষা জাল তৈরি করতে চায়। ইতিমধ্যেই বায়োব্যাঙ্ক ১০টি পাখির প্রজাতি থেকে জীবন্ত কোষ সংরক্ষণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ল্যাভেন্ডার-ক্রাউনড অ্যামাজন, মিল্কি স্টর্ক এবং বালি ময়না। সিঙ্গাপুরের সংরক্ষণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে একটি প্যাঙ্গোলিন শুক্রাণু ব্যাংকও তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর কনজারভেশন ইম্প্যাক্ট গ্রান্ট এই প্রকল্পগুলির সমর্থন করে।
সিঙ্গাপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ম্যান্ডাই ওয়াইল্ডলাইফ গ্রুপ ২০২৪ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ এলাকা হওয়ার পরিকল্পনা করছে। সিঙ্গাপুরের এই উদ্যোগগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত কোষগুলি ভবিষ্যতে প্রজাতি পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই সংরক্ষণের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে।