সিডার র্যাপিডস, আইওয়ায় পেরেগ্রিন শকুনের জনসংখ্যা সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাফল্য পূর্ববর্তী বছরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে, যা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ সচেতনতা ও প্রাণী সংরক্ষণের ঐতিহ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
২০২৪ সালে, আইওয়া প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি পেরেগ্রিন শকুনের বাসা পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মধ্যে ১১টি বাসা সফলভাবে মোট ৩৬টি তরুণ শকুনের জন্ম দিয়েছে, প্রতিটি বাসায় গড়ে ২.৭৭টি পাখি বড় হয়েছে, যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। এই পরিসংখ্যান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কিভাবে ধৈর্য ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রকৃতির সুরক্ষা সম্ভব।
সিডার র্যাপিডসের ইউ.এস. ব্যাংক ভবন পেরেগ্রিন শকুনের প্রধান বাসস্থান হিসেবে পরিচিত। ২০২৪ সালে, একটি শকুন যুগল সেখানে দুইটি ছানা লালন-পালন করেছে। আইওয়া র্যাপ্টর প্রকল্প এবং র্যাপ্টর রিসোর্স প্রকল্প এই ছানাগুলোকে ব্যান্ডিং করে তাদের বিকাশ ও অভিবাসন পর্যবেক্ষণ করছে, যা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতোই জীববৈচিত্র্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন।
এই সাফল্যগুলি আইওয়ায় চলমান সংরক্ষণ উদ্যোগের ফলাফল। ১৯৮৯ সালে পেরেগ্রিন শকুন পুনঃপ্রবর্তনের পর থেকে রাজ্যে বাসা বাঁধার যুগল সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের অঞ্চলের সামাজিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ সচেতনতাকে প্রতিফলিত করে।
লাইভ নেস্ট বক্স ক্যামেরাগুলো এই পাখিদের জীবনে একটি অনন্য দৃষ্টিপাত প্রদান করে, যা জনসাধারণের মধ্যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রতি আগ্রহ ও অংশগ্রহণ বাড়িয়ে তোলে। ২০২৫ সালের মৌসুমও এই ইতিবাচক প্রবণতাকে অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা রয়েছে, যা আমাদের সংস্কৃতির জীবন্ত ও প্রাণবন্ত প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাকে আরও গভীর করবে।