লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) -এর তরফে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, তারা একটি নতুন গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে, যার মূল বিষয় হবে প্রাণী কল্যাণ। এই উদ্যোগটি প্রাণী সচেতনতা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার ফলে প্রাণীজগতের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই গবেষণা কেন্দ্রটি, যা 'জেরেমি কলার সেন্টার ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার' নামে পরিচিত হবে, ৪ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে। অধ্যাপক জোনাথন বার্চের নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এখানে একত্রিত হয়ে কাজ করবেন। কেন্দ্রটির প্রধান লক্ষ্য হল, প্রাণীদের অনুভূতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করার জন্য নতুন পদ্ধতি তৈরি করা। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রাণী আচরণ, তাদের মানসিক অবস্থা এবং মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে।
গবেষণায় উঠে এসেছে যে, উন্নত বিশ্বে প্রাণীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমশ ইতিবাচক হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রাণীদের অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশে পশুচিকিৎসা এবং প্রাণী কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, উন্নত দেশগুলোতে পোষা প্রাণীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই কেন্দ্রটি পশুদের প্রতি মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সহায়ক হবে এবং প্রাণী কল্যাণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
এই গবেষণা কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাণী কল্যাণ সংক্রান্ত নীতি ও আইন তৈরিতে সহায়ক হবে। এলএসই-এর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি উদ্ভাবনী পদক্ষেপ, যা প্রাণীজগতের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।