ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিড়াল ও কুকুরের কল্যাণ উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নিয়মাবলী প্রবর্তন করেছে, যা নির্যাতনমূলক আচরণ, অবিবেচক প্রজননকারী এবং অবৈধ পাচারের জালকে মোকাবেলা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সকল সদস্য রাষ্ট্রে সাধারণ ন্যূনতম মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা এই প্রাণীদের জন্য আরও কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
২০২৫ সালের জুন থেকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমস্ত কুকুর ও বিড়ালকে মাইক্রোচিপ দ্বারা শনাক্তকরণ এবং আন্তঃপরিচালনাযোগ্য জাতীয় ডাটাবেসে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হবে। এই উদ্যোগ প্রাণীর অনুসরণযোগ্যতা নিশ্চিত করে অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করবে। পোষা প্রাণী দোকানে কুকুর ও বিড়ালের বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রত্যয়িত প্রজননকারীর মাধ্যমে দায়িত্বশীল দত্তক গ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, স্বজনপ্রীতি এবং এমন প্রাণীর প্রজনন নিষিদ্ধ করা হয়েছে যাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য তাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কানের কাটা ও লেজ কাটা প্রভৃতি প্রথাও, শুধুমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানের কারণে ব্যতীত, নিষিদ্ধ। তৃতীয় দেশ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কুকুর ও বিড়ালকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের আগে মাইক্রোচিপ করা ও জাতীয় ডাটাবেসে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
যারা তাদের পোষা প্রাণী নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণ করবেন, তাদেরকে অন্তত পাঁচ কার্যদিবস আগে অনলাইন ডাটাবেসে পূর্বে শনাক্তকৃত প্রাণীটির নিবন্ধন করতে হবে। ইউরোপীয় প্রাণী সংগঠনগুলো এই আইনগত ব্যবস্থায় এমন ফাঁকফোকর থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যা পোষা প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যকে সহজতর করতে পারে।
এই নিয়মাবলী মানব ও প্রাণীর মধ্যে আরও সম্মানজনক সহাবস্থানের দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাণী কল্যাণের প্রতি অঙ্গীকারকে পুনরায় নিশ্চিত করে। দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে, যেখানে প্রাণীর প্রতি স্নেহ ও সম্মান গভীরভাবে নিহিত, এই উদ্যোগ একটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।