ভারতীয় বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউট (WII) -এর একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা আসামের কাজিরাঙ্গা-কার্বি আংলং ল্যান্ডস্কেপ (KKAL)-এ ধোল, যা এশীয় বন্য কুকুর নামেও পরিচিত, তাদের অবিরাম উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এই পুনঃআবিষ্কার, পূর্ববর্তী অনুসন্ধানগুলির উপর ভিত্তি করে এবং 'জার্নাল অফ ওয়াইল্ডলাইফ সায়েন্স'-এ প্রকাশিত হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার চলমান গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
২০২৪ সাল এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে পরিচালিত এই আপডেট সমীক্ষায় KKAL-এর মধ্যে থাকা চারটি প্রধান প্রাণী করিডোরের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। আমগুরি করিডোরে একাধিকবার ধোল-এর ছবি তোলা হয়েছে, যা তাদের ধারাবাহিক উপস্থিতি প্রমাণ করে। এই করিডোরটি বিপন্ন প্রজাতিদের চলাচল এবং তাদের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধোল সামাজিক প্রাণী, এবং তাদের বিশ্বব্যাপী বিচরণক্ষেত্র আবাসস্থল ধ্বংস এবং অন্যান্য হুমকির কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই সমীক্ষার আগে উত্তর-পূর্ব ভারতে তাদের শেষ নিশ্চিত দর্শন ছিল ২০১১ সালে। এই ধারাবাহিক উপস্থিতি বন্যপ্রাণী করিডোরগুলিকে সংরক্ষণ ও উন্নত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
ড. রুচি বাডোলা আমগুরি করিডোরের বাস্তুসংস্থানগত মূল্যের ওপর জোর দিয়েছেন, যা বাঘ, চিতাবাঘ এবং হাতিদেরও সমর্থন করে। ধোলের অবিরাম উপস্থিতি এই বিপন্ন প্রজাতিদের জন্য বাসস্থান রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি তাদের জনসংখ্যার গতিশীলতা নিরীক্ষণের জন্য টেকসই সংরক্ষণ প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে।