উগান্ডায় গবেষকরা শিম্পাঞ্জিদের শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষত নিরাময়ের জন্য ঔষধি গাছপালা ব্যবহার করতে দেখেননি, তারা অন্যান্য শিম্পাঞ্জিদের ক্ষতও নিরাময় করে।
বুডংগো ফরেস্টে নথিভুক্ত এই পরোপকারী আচরণে দেখা যায় শিম্পাঞ্জিরা চিবানো পাতা সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের আঘাতের উপর প্রয়োগ করছে।
'ফ্রন্টিয়ার্স ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন'-এ প্রকাশিত গবেষণাটি চিকিৎসা ব্যবস্থার উৎপত্তির উৎস অনুসন্ধানের সম্ভাবনা তুলে ধরে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এলোডি ফ্রেইম্যান বুডংগো ফরেস্টের সোনসো এবং ওয়াইবিরা শিম্পাঞ্জি সম্প্রদায়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এই গবেষণা পরিচালনা করেন।
শিম্পাঞ্জিরা প্রায়শই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বা মানবসৃষ্ট বাধার সংস্পর্শে এসে আহত হতো।
গবেষকরা শিম্পাঞ্জিদের ক্ষতস্থানে চিবানো পাতা লাগানোর ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন, এমনকি সম্পর্কহীন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও।
শিম্পাঞ্জিরা স্বাস্থ্যকর আচরণও প্রদর্শন করেছে, যেমন ক্ষত থেকে আবর্জনা অপসারণ করা এবং শ্যাওলা দিয়ে পরিষ্কার করা।
এই আচরণ থেকে বোঝা যায় যে শিম্পাঞ্জিরা অন্যদের চাহিদা উপলব্ধি করে এবং তাদের সাহায্য করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ করে।
ফলাফলগুলো ইঙ্গিত করে যে সহানুভূতি এবং সমাজিক আচরণ পূর্বে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অ-মানবিক প্রাইমেটদের মধ্যে আরও বেশি বিস্তৃত হতে পারে।
এই গবেষণা শুধুমাত্র চিকিৎসা ব্যবস্থার উৎপত্তির উপর আলোকপাত করে না, বরং এও ইঙ্গিত দেয় যে সহানুভূতি মানুষের বাইরেও বিস্তৃত।