ভারতীয় কর্মকর্তারা বন্যপ্রাণী চোরাকারবারীর কাছ থেকে ৭২টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছেন

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

ভারতের কানপুরে কর্মকর্তারা একটি বন্যপ্রাণী চোরাকারবারীর বাড়ি থেকে ৭২টি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছেন। বন বিভাগ কর্তৃক অভিযান চালানোর সময় টিয়া পাখিগুলোকে আবিষ্কার করা হয়। পাখিগুলোকে খুবই খারাপ অবস্থায় রাখা হয়েছিল।

উদ্ধারকৃত টিয়া পাখিদের মধ্যে আলেকজান্দ্রিন এবং রোজ-রিংড প্যারাকিট ছিল। এই দুটি প্রজাতিই ভারতীয় আইনের অধীনে সুরক্ষিত। এই পাখিগুলোকে রাখা বা ব্যবসা করা অবৈধ।

টিয়া পাখিগুলোকে ছোট খাঁচায় পাওয়া যায় এবং সেগুলো দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। এরপর থেকে তাদের একটি বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে, তারা সুস্থ হওয়ার জন্য যত্ন পাবে।

বন্যপ্রাণী চোরাচালান জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হুমকি। এটি প্রায়শই বিরল এবং সবচেয়ে সুরক্ষিত প্রজাতিগুলোকে লক্ষ্য করে। এতে বন্যে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

চোরাইকৃত প্রাণীদের নতুন পরিবেশে পরিচয় করিয়ে দিলে পরিবেশগত ক্ষতি হতে পারে। আক্রমণাত্মক প্রজাতি বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে। তারা রোগ ছড়াতে পারে, যা স্থানীয় জনসংখ্যা এবং কৃষির ক্ষতি করে।

যে এলাকায় টিয়া পাখিগুলো পাওয়া গেছে সেটি অবৈধ পাখি ব্যবসার জন্য পরিচিত। কর্তৃপক্ষ টহল এবং সচেতনতা কর্মসূচি বাড়াচ্ছে। এই অঞ্চলের বন্যপ্রাণী পাচার মোকাবেলা করাই এর লক্ষ্য।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।