বিলুপ্ত প্রাণীদেরকে পুনরায় জীবিত করার ধারণাটি দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষের কল্পনাকে আকৃষ্ট করেছে। বেশ কয়েকটি উচ্চ-প্রোফাইল প্রকল্প চলছে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সুবিধা রয়েছে। এখানে কিছু মূল বিলুপ্ত প্রজাতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা তুলে ধরা হলো:
ডায়ার উলফ: কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ধূসর নেকড়ে থেকে জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করে ডায়ার উলফ (Aenocyon dirus) পুনর্গঠন করার লক্ষ্য নিয়েছে। এর ফলে যে প্রাণীটি তৈরি হবে, সেটি হবে জেনেটিকভাবে পুনঃব্যাখ্যা করা একটি সংস্করণ, বিলুপ্ত প্রজাতির প্রকৃত পুনরুত্থান নয়।
উলী ম্যামথ: বিজ্ঞানীরা CRISPR জিন-সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে উলী ম্যামথ (Mammuthus primigenius) ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন। এর লক্ষ্য হলো এমন একটি প্রাণী তৈরি করা যা সাইবেরিয়ার তুন্দ্রাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করতে পারে, যা পারমাফ্রস্টকে গলতে বাধা দেবে।
তাসমানিয়ান বাঘ: জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তাসমানিয়ান বাঘ (Thylacinus cynocephalus) পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চলছে। বিজ্ঞানীরা স্টেম কোষ সম্পাদনা করতে এবং জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত কোষ তৈরি করতে চান যা একটি সারোগেট মার্সুপিয়ালের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।
উলী ইঁদুর: কলোসাল বায়োসায়েন্সেস ম্যামথ গবেষণা থেকে অনুপ্রাণিত মিউটেশন দিয়ে এর জিনোম পরিবর্তন করে একটি উলী ইঁদুরও তৈরি করেছে। এই পরীক্ষাটি বিলুপ্ত প্রজাতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার প্রকৃত সম্ভাবনা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
যদিও এই প্রকল্পগুলো আশাব্যঞ্জক, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে বিলুপ্ত প্রজাতি পুনরুদ্ধার করা জটিল। একটি বিলুপ্ত প্রজাতির সাথে জিন শেয়ার করা মানে এই নয় যে নতুন প্রাণীটি মূল প্রাণীর সমতুল্য।