সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো প্রাণীদের যোগাযোগের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোকপাত করে, যেখানে ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ভূমিকম্পীয় যোগাযোগ এবং ক্যানাইন শ্রবণ ক্ষমতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ইঁদুরসহ ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীরা, একে অপরকে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করতে ভূমিকম্পীয় সংকেত ব্যবহার করে। এই সংকেতগুলো, মাটি থপথপ করে বা আঁচড়ে তৈরি করা হয়, যা পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করে এবং সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে অন্যদের সতর্ক করে। এই যোগাযোগ পদ্ধতিটি বিশেষ করে সেই পরিবেশগুলোতে উপযোগী যেখানে চাক্ষুষ বা শ্রবণ সংকেত সীমিত থাকতে পারে।
কুকুরদের একটি চিত্তাকর্ষক শ্রবণ ক্ষমতা রয়েছে, যা ৪০ হার্জ থেকে ৬০০০০ হার্জ পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করতে পারে, যা মানুষের ক্ষমতার (২০ হার্জ থেকে ২০০০০ হার্জ) চেয়ে অনেক বেশি। তাদের চলমান কানগুলো তাদের ১৩০০ মিটার পর্যন্ত দূরের শব্দ উৎস সনাক্ত করতে সক্ষম করে, যেখানে মানুষ প্রায় ২০০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এই উন্নত অনুভূতি কুকুরদের ১০০টি পর্যন্ত শব্দ চিনে এবং সুরের পরিবর্তন বুঝতে পারার মাধ্যমে মানুষের কথা ব্যাখ্যা করতে দেয়, যা নির্দেশাবলী এবং আবেগ বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কুকুরদের সাথে কার্যকর যোগাযোগের জন্য শারীরিক ভাষার সাথে স্পষ্ট, সামঞ্জস্যপূর্ণ মৌখিক সংকেত অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ইতিবাচক উদ্দীপনা, যেমন প্রশংসা এবং খেলাধুলা, তাদের সহযোগিতা করার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে।