ভারতীয় শেয়ার বাজার, যা প্রায়শই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়, সম্প্রতি মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারের এই উত্থান-পতন বিশ্লেষণের জন্য, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে এর গভীরে যাওয়া প্রয়োজন।
১৫ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে, ভারতীয় স্টক সূচকগুলি চার দিনের পতনের পর পুনরুদ্ধার করে। সেনসেক্স ০.৩৯% বৃদ্ধি পেয়ে ৮২,৫৭০.৯১-এ এবং নিফটি ০.৪৫% বেড়ে ২৫,১৯৫.৮০-তে বন্ধ হয়েছে। এই পুনরুদ্ধার মূলত অটো এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের লাভের কারণে হয়েছে। জুন মাসে খুচরা মূল্যস্ফীতি ৬ বছরের সর্বনিম্ন ২.১০%-এ নেমে আসার পরেই এই ঘটনা ঘটে। বাজারের এই উন্নতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
বাজারের এই উত্থানের পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১,৬১৪.৩২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করলেও, দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ১,৭৮৭.৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। এর থেকে বোঝা যায়, বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনো অটুট রয়েছে। এছাড়া, বৃহত্তর বাজারে বিএসই স্মল-ক্যাপ সূচক ০.৯৫% এবং মিড-ক্যাপ সূচক ০.৮৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, এশীয় বাজারগুলির মিশ্র ফল সত্ত্বেও, ভারতীয় বাজারের এই পুনরুদ্ধার একটি ইতিবাচক লক্ষণ। কোস্পি, নিক্কেই ২২৫ এবং হ্যাং সেং সূচকগুলি ইতিবাচক ছিল, যেখানে সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে। অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৬৯.০৯ ডলারে নেমে আসাও বাজারের জন্য সহায়ক হয়েছে।
সংক্ষেপে, ভারতীয় শেয়ার বাজারের এই পুনরুদ্ধার অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক উভয় কারণের দ্বারা চালিত। মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং সম্ভাব্য সুদের হার কমানো বাজারের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য, বাজারের এই পরিবর্তনগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া অপরিহার্য।