টোকেনাইজড সিকিউরিটিজ ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জগতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রযুক্তি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর পরিবর্তনের সাথে সাথে, এই ধরনের সিকিউরিটিজের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, ২০২৩ সালের মধ্যে টোকেনাইজড সিকিউরিটিজের বাজার প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এই বৃদ্ধি মূলত এসেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ এবং ডিজিটাল সম্পদের প্রতি ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে। ভারতেও, এই বাজারের সম্ভাবনা বিশাল, যেখানে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং নিয়ন্ত্রক সমর্থন এটিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড (সেবি) টোকেনাইজড সিকিউরিটিজের জন্য একটি উপযুক্ত কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করছে, যা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। এই কাঠামো বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও, ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নতি এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থ (DeFi)-এর প্রসারের ফলে টোকেনাইজড সিকিউরিটিজের ব্যবহার আরও সহজ এবং কার্যকরী হয়ে উঠছে।
ভারতে, বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি এই নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনাগুলি কাজে লাগানোর জন্য কাজ করছে। তারা বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে এবং বাজারের উন্নতিতে সহায়ক হবে। সামগ্রিকভাবে, টোকেনাইজড সিকিউরিটিজ ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হতে পারে, যা তাদের পোর্টফোলিওকে আরও বৈচিত্র্যময় করতে সাহায্য করবে।