প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পথে: এন্ট গ্রুপের ইউএসডিসি-র সংহতকরণ এবং বাংলাদেশের সম্ভাবনা

সম্পাদনা করেছেন: Yuliya Shumai

আলিবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান, এন্ট গ্রুপ, তাদের ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মে ইউএসডিসি স্টেবলকয়েন সংহত করার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপটি প্রযুক্তির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। এই সংহতকরণের ফলে সীমান্ত বাণিজ্য এবং ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুবিধা সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এন্ট গ্রুপের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট বা সীমান্ত বাণিজ্যকে আরও সহজ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী করে তোলা। ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক লেনদেনে প্রায় ৭-১০% পর্যন্ত ফি লাগে, যা ব্যবসার জন্য একটি বড় বাধা। ইউএসডিসি-র মতো স্টেবলকয়েন ব্যবহারের মাধ্যমে এই খরচ ১%-এর নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব। এর ফলে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও বেশি সুবিধা পাবে।

এন্ট গ্রুপের ব্লকচেইন নেটওয়ার্ক গত বছর ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন করেছে, যার এক তৃতীয়াংশ ছিল তাদের নিজস্ব ব্লকচেইনে। ইউএসডিসি-র সংহতকরণের ফলে এই নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে এবং ডিজিটাল কারেন্সি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৃহত্তর আস্থা তৈরি হবে। বর্তমানে, বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়ছে, তাই ইউএসডিসি-র মতো স্থিতিশীল ডিজিটাল মুদ্রার আগমন দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পথে সহায়ক হবে।

এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ইউএসডিসি-র সংহতকরণের ফলে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসার ঘটবে। এর মাধ্যমে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশ্ব বাজারের সঙ্গে আরও সহজে যুক্ত হতে পারবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

উৎসসমূহ

  • Cointelegraph

  • CoinDesk

  • Reuters

  • Cointelegraph

  • Reuters

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।