ওরাকল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন, যা প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এলিসনের এই উত্থান প্রযুক্তিগত বাজারের গভীর পরিবর্তনকে নির্দেশ করে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ক্লাউড অবকাঠামো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ওরাকল জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে আগামী পাঁচ বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে, যা এই পরিবর্তনের একটি অংশ।
এই বিনিয়োগের কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ওরাকল মূলত AI-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিতে চাইছে। বাজার গবেষণা সংস্থা গার্টনারের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী AI বাজার ৩০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ওরাকলের এই বিনিয়োগ তাদের বাজারের অংশীদারিত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে। জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে এই বিনিয়োগের মাধ্যমে ওরাকল উন্নত প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং দক্ষ জনশক্তির সুবিধা নিতে পারবে।
শেয়ার বাজারের উপর এর প্রভাবও উল্লেখযোগ্য। ওরাকলের শেয়ারের দাম ৩২% বৃদ্ধি পাওয়ায় এলিসনের সম্পদ ৫৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। বর্তমানে ওরাকলের বাজার মূলধন ৬৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা প্রযুক্তি খাতে তাদের শক্তিশালী অবস্থান প্রমাণ করে। এই বিনিয়োগ শুধু ওরাকলের জন্য নয়, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।
সব মিলিয়ে, ওরাকলের AI-তে বিনিয়োগ একটি দূরদর্শী পদক্ষেপ। এলিসনের উত্থান এবং শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি এই বিনিয়োগের সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়। ওরাকল AI-এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা থেকে লাভবান হতে প্রস্তুত এবং একই সাথে বিনিয়োগের দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।