রিপোর্ট অনুসারে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে পারস্য উপসাগরকে আরব উপসাগর বা আরবের উপসাগর হিসাবে উল্লেখ করবে। এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক নীতি নিয়ে চলমান সংবেদনশীল আলোচনার মধ্যে।
এই পদক্ষেপটি কিছু আরব দেশের পছন্দের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যারা দীর্ঘদিন ধরে 'আরব উপসাগর' ব্যবহারের পক্ষে কথা বলছেন। তবে, ইরান 'পারস্য উপসাগর' নামের সাথে তার ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যা ১৬ শতক থেকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আন্তর্জাতিক জলতত্ত্ব সংস্থা (International Hydrographic Organization) এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি দ্বারা স্বীকৃত।
ইরানের কর্মকর্তারা সম্ভাব্য নাম পরিবর্তনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং শত্রুভাবাপন্ন অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত হিসাবে নিন্দা করেছেন। তারা যুক্তি দেন যে ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত নাম পরিবর্তন করা মানবতার সম্মিলিত ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে এবং বিশ্বজুড়ে ইরানীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। যদিও মার্কিন সামরিক বাহিনী মাঝে মাঝে 'আরব উপসাগর' ব্যবহার করেছে, তবে হোয়াইট হাউসের আনুষ্ঠানিক গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন চিহ্নিত করবে।
আন্তর্জাতিক প্রভাব
আন্তর্জাতিক জলতত্ত্ব সংস্থা (IHO) "ইরানের উপসাগর (পারস্য উপসাগর)" নামটি ব্যবহার করে। জাতিসংঘ এবং বেশিরভাগ বিশ্ব মানচিত্রও 'পারস্য উপসাগর' শব্দটি স্বীকার করে। যদিও ট্রাম্প সরকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে নামটি পরিবর্তন করতে পারেন, তবে এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকে নির্দেশ করবে না।
উপসাগরের নাম নিয়ে বিতর্ক গভীর আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং ঐতিহাসিক দাবিকে প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপটি আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ককে আরও খারাপ করতে পারে, বিশেষ করে চলমান পারমাণবিক আলোচনার সময়।