ফেডারেল রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি এবং রাজনৈতিক চাপের মধ্যে সুদের হার নিয়ে তার পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ২০২৫ সালের ২৯-৩০ জুলাই বৈঠকে বসবে, যা সুদের হারের মান নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বোঝা জরুরি।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, জুনে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ২.৭%-এ পৌঁছেছে, যা মে মাসে ছিল ২.৪%। এই বৃদ্ধি বাণিজ্য শুল্কের কারণে হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সুদের হার কমানোর আহ্বান জানিয়েছে, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অপসারণের কথাও বলা হয়েছে।
অতীতেও, রাজনৈতিক চাপ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারণে প্রভাব ফেলেছে, যা একটি ধারাবাহিক প্রবণতা। ঐতিহাসিকভাবে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯১৩ সালে ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এটি দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ফেডারেল রিজার্ভ বন্ডের মাধ্যমে সরকারি ঋণ সমর্থন করে। ১৯৭০-এর দশকে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাংকটিকে আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত জুলাই মাসের বৈঠকে তার বেঞ্চমার্ক সুদের হার ৪.২৫%-৪.৫০% বজায় রাখবে। গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারের মতো কিছু কর্মকর্তা অর্থনৈতিক মন্দার কারণে হার কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। আর্থিক বাজার এই ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। অতীতে সুদের হারের পরিবর্তনগুলি বাজারের উপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তগুলি দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে, যা একটি ধারাবাহিক ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার অংশ।