আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির নেতৃত্বে সরকার ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক বাজার স্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন ঋণ সিকিউরিটিজ ইস্যু এবং বাজারের কার্যক্রম পরিচালনা। মূল লক্ষ্য হলো পেসোর অবমূল্যায়ন রোধ করা এবং বিনিময় হারের চাপ কমানো। অর্থমন্ত্রী লুইস ক্যাপুটো বলেছেন, এই পদক্ষেপগুলির উদ্দেশ্য হলো প্রচলন থেকে অতিরিক্ত পেসো শোষণ করা এবং অবমূল্যায়ন প্রতিরোধ করা।
জুন ২০২৫-এর জন্য ৭৯০.৫৩৩ মিলিয়ন পেসোর প্রাথমিক উদ্বৃত্তের খবর পাওয়া গেছে, যা দেশের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করার প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। তবে, এই পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আর্জেন্টিনার অর্থনীতির উপর গভীর প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলি আর্জেন্টিনার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই হস্তক্ষেপগুলি ব্যাংকগুলির সাথে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যারা সরকারের মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। সরকার যুক্তি দেয় যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মুদ্রা সংকট প্রতিরোধে এই পদক্ষেপগুলি প্রয়োজনীয়। আন্তর্জাতিক সংবাদে, নিউ ইয়র্কের সেকেন্ড সার্কিট কোর্ট অফ আপিলস, বারফোর্ড ক্যাপিটাল এবং ইটন পার্কের কাছে ওয়াইপিএফ শেয়ারের ৫১% হস্তান্তরের নির্দেশটি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এই সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষকে তাদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য অতিরিক্ত সময় দেয়।
আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপগুলি দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এর সাফল্য নির্ভর করবে সরকারের নীতিগুলির ধারাবাহিকতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের উপর। আর্জেন্টিনার অর্থনীতি বর্তমানে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণের বোঝা। এই পরিস্থিতিতে, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলবে।