পাঁচ বছরের বিচ্ছিন্নতার পর, উত্তর কোরিয়া সতর্কতার সাথে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য তার সীমান্ত পুনরায় খুলে দিয়েছে, যা তার বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়। প্রাথমিক লক্ষ্য হল বৈদেশিক মুদ্রা তৈরি করা, যা কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন একটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। পর্যটন একসময় আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলেও, কোভিড-১৯ মহামারী এটিকে থামিয়ে দিয়েছে। পুনরায় খোলার প্রক্রিয়াটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে রাশিয়ান পর্যটকদের একটি ছোট দলের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যার পরে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি বৃহত্তর দল আসে। মহামারীর আগে, চীনা পর্যটকদের আধিপত্য ছিল, যারা প্রায় ৯০% দর্শক ছিল। তবে, মহামারীর পরে প্রথমবার রাশিয়ান পর্যটকরা আসে, যাদের মধ্যে প্রায় ৮৮০ জন রাশিয়ান পর্যটক ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পরিদর্শন করে। পুনরায় খোলার পরেও, কঠোর নিয়ম বহাল রয়েছে। পর্যটকদের স্থানীয় গাইডদের সাথে থাকতে হবে এবং সংবেদনশীল স্থানগুলোর ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ। উত্তর কোরিয়া ২০২৪ সালের জুনে তার পূর্ব উপকূলে একটি বড় পর্যটন কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে পিয়ংইয়ং এবং পূর্ব উপকূলের উন্নয়নের মতো নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। চীনা দলবদ্ধ ভ্রমণের অনুপস্থিতি উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘমেয়াদী পর্যটন নীতি এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে, কারণ তারা পূর্বে বৈদেশিক মুদ্রার একটি উল্লেখযোগ্য প্রবাহ নিয়ে আসত, যেখানে প্রতি বছর ৩০০,০০০ পর্যন্ত দর্শক থাকত।
পাঁচ বছর পর পর্যটকদের জন্য সীমান্ত পুনরায় খুলল উত্তর কোরিয়া, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্য
Edited by: Елена 11
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।