বিড়ালদের স্বাধীনচেতা স্বভাব আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিতে বিশেষভাবে পরিচিত। ঘরোয়া সঙ্গী হিসেবে তারা আমাদের জীবনের অঙ্গ, কিন্তু মাঝে মাঝে পোষা সময় হঠাৎ কামড়ানোর আচরণ বোঝা কঠিন। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
একটি কারণ হলো অতিরিক্ত উদ্দীপনা। দীর্ঘ সময় ধরে আদর করলে বা স্পর্শকাতর অংশে হাত দিলে বিড়াল উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। এর লক্ষণ যেমন ত্বকের টানটান ভাব বা চোখের পুতুলের বড় হওয়া। বিড়াল এই সংকেত দিয়ে জানায় যে তারা আর বেশি সহ্য করতে পারছে না।
অন্য একটি কারণ হলো খেলার প্রবৃত্তি। বিশেষ করে তরুণ বিড়ালরা আদর থেকে হঠাৎ খেলায় মেতে ওঠে। তারা নরমভাবে আপনার হাত ধরে রাখতে পারে। যদি ফুঁসফুঁ বা গর্জন না করে, তবে এটা সাধারণত খেলার অংশ। তবে, খেলাধুলার জন্য খেলনা ব্যবহার করাই উত্তম।
কিছু স্পর্শকাতর স্থান যেমন পেট বা পায়ে আদর বিড়ালের কাছে অস্বস্তিকর হতে পারে। এসব অংশ স্পর্শ করলে তারা বিরক্ত হতে পারে এবং কামড়াতে পারে।
বিড়ালের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়া রয়েছে। তারা নিজেকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে কামড়াতে পারে যদি তারা ভয় পায় বা ব্যথা অনুভব করে। বিশেষ করে পেটের মতো স্থান অনেক বিড়ালের জন্য অতিরিক্ত স্পর্শকাতর, যেখানে আদর করলে কামড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
আপনার বিড়াল আদর করার সময় কামড়ালে শান্ত থাকুন এবং সঙ্গে সঙ্গে আদর বন্ধ করুন। বিড়ালের শরীরের ভাষা লক্ষ্য করুন যাতে অস্বস্তির লক্ষণ বোঝা যায়। তাদের সীমা সম্মান করুন এবং স্পর্শকাতর স্থান এড়িয়ে চলুন। যদি কামড়ানোর প্রবণতা বারবার হয় বা অন্যান্য আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়, তবে একজন পশুচিকিৎসক বা আচরণ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।