কীলাদি, তামিলনাড়ুর সিভাগাঙ্গাই জেলার একটি গ্রাম, যেখানে ২০১৫ সাল থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কার্যক্রম চলছে। এই খননগুলোর মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রমাণাদি প্রাচীন তামিল সভ্যতার উন্নত জীবনযাত্রা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
খননকার্যে আবিষ্কৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম, যার মধ্যে রয়েছে পোড়ামাটির পাত্র, সোনার অলঙ্কার, সেমি-প্রেসিয়াস পাথরের মণি, শাঁস ও হাতির দাঁতের বালা, কাচের মণি, সুতা ঘুরানোর যন্ত্র, রঞ্জন শিল্পের উপকরণ এবং মৃৎপাত্র। এই আবিষ্কারগুলি তামিল সভ্যতার শিল্প ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সমৃদ্ধি নির্দেশ করে।
খননকার্যে পাওয়া গেছে ১২০টিরও বেশি তামিল ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা মাটির পাত্র, যা সেই সময়ের মানুষের সাক্ষরতা ও ভাষার দীর্ঘস্থায়িত্ব প্রমাণ করে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, যেমন হপস্কচ পিস, তামিল সাহিত্যে উল্লেখিত খেলাধুলার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যগুলি প্রাচীন তামিল সভ্যতার উন্নত জীবনযাত্রা, শিল্প ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের সমৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে।