৭৭ বছর বয়সী কার্ল হাইনজ আইসফেল্ড এরডিং জেলার ঐতিহ্যবাহী বাভারিয়ান স্থান ও ক্ষেত্রের নামগুলি দলিল করার জন্য নিবেদিত। তিনি একটি রেকর্ডিং ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত শ্রবণশক্তি নিয়ে এই অঞ্চলের ২৬টি পৌরসভা ঘুরে বেড়ান, যেখানে জীবিত সর্বশেষ সাক্ষীদের কাছ থেকে এই নামগুলির আসল উচ্চারণ ধারণ করেন।
আইসফেল্ডের এই প্রতিশ্রুতি বাভারিয়ান বিজ্ঞান একাডেমি ও বাভারিয়ার স্থান ও ক্ষেত্র নাম গবেষণা সমিতি ই.ভি. কর্তৃক পরিচালিত বৃহত্তর একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রায় ৫৫,০০০ বাভারিয়ান স্থান নামের আঞ্চলিক উচ্চারণ দলিল করা, যা অন্যথায় হারিয়ে যেতে পারে। সংগৃহীত অডিও দলিলগুলি ইন্টারনেটে একটি ইন্টারেক্টিভ মানচিত্রে উপলব্ধ করা হবে।
আইসফেল্ড ঐতিহাসিক এবং স্থানীয় ইতিহাস গবেষণার জন্য ঐতিহ্যবাহী উচ্চারণের গুরুত্ব জোর দিয়ে বলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, আঞ্চলিক ভাষা প্রায়ই নামগুলির উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং তাই আঞ্চলিক ইতিহাস বোঝাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, "Oustern" [ˈɔʊstɐn] থেকে "Ostern" [ˈɔstɐn] বা "Muich" [mɔɪç] থেকে "Milch" [mɪlç] (অর্থাৎ "ইস্টার" এবং "দুধ") এর মতো নামের উচ্চারণ পরিবর্তন ভাষাগত পরিবর্তন অনুসরণ করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
এরডিং জেলার মানুষের প্রতিক্রিয়া আইসফেল্ডের প্রকল্পের প্রতি সবসময় ইতিবাচক। বাসিন্দারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য এই প্রকল্পের মূল্য বুঝতে পারেন এবং সক্রিয়ভাবে এটি সমর্থন করেন। নিজে একজন আঞ্চলিক ভাষাভাষী হিসেবে আইসফেল্ড এই প্রতিশ্রুতিকে শুধুমাত্র একটি চ্যালেঞ্জ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধি হিসেবে দেখেন এবং এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত হন।
এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে বাভারিয়ান আঞ্চলিক ভাষা এবং এর বিভিন্ন স্থান ও ক্ষেত্র নামের সুরক্ষা ও পরিচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা হয়। এগুলি ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ সম্ভব করে।