বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিশুদের স্ক্রিন টাইমের প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়। মনোবিজ্ঞানীরা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর স্ক্রিন টাইমের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং মনোযোগের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ।
শিশুদের ভাষা বিকাশে স্ক্রিন টাইমের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের ভাষা বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর কারণ হল, স্ক্রিন টাইম শিশুদের পারস্পরিক যোগাযোগের সুযোগ কমিয়ে দেয়, যা ভাষা শিক্ষার জন্য অপরিহার্য।
শিশুদের সামাজিক-মানসিক বিকাশে স্ক্রিন টাইমের প্রভাবও উল্লেখযোগ্য। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের সামাজিক দক্ষতা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তারা অন্যদের অনুভূতি বুঝতে এবং তাদের সাথে সহানুভূতি তৈরি করতেও অসুবিধা অনুভব করতে পারে।
পিতামাতাদের জন্য, শিশুদের স্ক্রিন টাইম পরিচালনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশুদের স্ক্রিন টাইমের পরিমাণ সীমিত করা, তাদের জন্য উপযুক্ত এবং শিক্ষামূলক কন্টেন্ট নির্বাচন করা এবং তাদের সাথে স্ক্রিন টাইম নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের জন্য খেলাধুলা এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ তৈরি করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভাষা বিকাশের জন্য স্ক্রিন টাইম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিভাবকদের সচেতনতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের স্ক্রিন টাইমের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যেতে পারে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভাষা বিকাশে সহায়তা করার জন্য, অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের সাথে আরও বেশি সময় কাটানো, তাদের সাথে কথা বলা এবং তাদের আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভাষা বিকাশে সহায়তা করার জন্য, অভিভাবকদের সচেতনতা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের স্ক্রিন টাইমের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যেতে পারে।