১লা জুলাই, ২০২৫ তারিখে পেরুর লিমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া কন্টিনেন্টাল ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (সিআইই) উচ্চশিক্ষার জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগতকরণ, আন্তর্জাতিকীকরণ এবং প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে রূপান্তরিত করা।
সিআইই শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী নমনীয় শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে, যেখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, কারিগরি, অবিরাম শিক্ষা এবং ভাষা প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নেটওয়ার্কের অধীনে কন্টিনেন্টাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আন্তর্জাতিক শাখাগুলো, যেমন ফ্লোরিডা ও মেক্সিকোতে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে অনলাইন শিক্ষার বাজার প্রতি বছর প্রায় ২০% হারে বাড়ছে, যা সিআইই-এর প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, তরুণ প্রজন্মের প্রায় ৭৫% উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী। সিআইই তাদের জন্য নমনীয় অধ্যয়নের সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশেও, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার চাহিদা বাড়ছে, এবং সিআইই এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সিআইই-এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো বারিয়োস ইপেনজা সংযুক্ত, উদ্ভাবনী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। নেটওয়ার্কের এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৭৫% শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসার নতুন ধারণা তৈরি করতে পারবে। স্পেন সহ বিভিন্ন দেশে সিআইই-এর শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা গুণমান এবং নমনীয় শিক্ষার প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
পরিশেষে, সিআইই উচ্চশিক্ষার একটি নতুন মডেল তৈরি করছে, যেখানে শিক্ষার্থীর চাহিদা ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে শিক্ষা প্রদান করা হবে। উদ্ভাবন, ব্যক্তিগতকরণ এবং আন্তর্জাতিকীকরণের প্রতি মনোযোগের মাধ্যমে, সিআইই বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিতে চলেছে।