ইউসিএলএ’র বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে রেটিনাল কোষগুলি রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা নামে একটি জেনেটিক চোখের রোগের কারণে সৃষ্ট অবক্ষয়ের মুখোমুখি হলে নিজেকে পুনর্গঠন করে দৃষ্টি রক্ষা করতে পারে। এই আবিষ্কারটি এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন চিকিৎসার সম্ভাবনার আলো দেখিয়েছে।
২০২৫ সালে কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি ইউসিএলএ’র জুলস স্টেইন আই ইনস্টিটিউট থেকে এসেছে। এতে মূলত রড বাইপোলার কোষের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে, যা সাধারণত রাত্রিকালীন দৃষ্টির জন্য দায়ী রড ফটোরিসেপ্টর থেকে সংকেত গ্রহণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন তাদের স্বাভাবিক সঙ্গী কার্যকর থাকে না, তখন এই কোষগুলি দিনের আলো দেখার জন্য দায়ী কন ফটোরিসেপ্টরের সাথে নতুন সংযোগ তৈরি করতে পারে।
রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা বিশ্বব্যাপী বংশগত অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ। রেটিনার কোষ হারানোর পর কীভাবে অভিযোজন ঘটে তা বোঝা নতুন চিকিৎসার লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে। গবেষকরা রডোপসিন নকআউট ইঁদুর ব্যবহার করেছেন, যা প্রাথমিক রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসার মডেল হিসেবে কাজ করে, এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অধ্যয়নের জন্য।
বিজ্ঞানীরা পৃথক রড বাইপোলার কোষ থেকে বৈদ্যুতিক রেকর্ডিং নিয়েছেন এবং তাদের স্বাভাবিক ইনপুট হারানোর পর আচরণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা দেখতে পেয়েছেন যে ফাংশনহীন রডযুক্ত ইঁদুরে রড বাইপোলার কোষের প্রতিক্রিয়া কন কোষ দ্বারা চালিত হয়। এই পুনর্গঠন নিজেই অবক্ষয় প্রক্রিয়া দ্বারা উদ্দীপিত হয়।
গবেষণার প্রধান লেখক ড. এ.পি. সামপাথ বলেন, “আমাদের ফলাফল দেখায় যে রেটিনা রড হারানোর পর এমনভাবে অভিযোজিত হয় যা রেটিনায় দিনের আলো সংবেদনশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে।” এই আবিষ্কার রেটিনার অসাধারণ অভিযোজন ক্ষমতাকে তুলে ধরে এবং বংশগত রেটিনাল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টি সংরক্ষণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের চিকিৎসা কৌশল নির্ধারণে পথপ্রদর্শক হতে পারে।