লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই)-তে ২০২৩ সালের শরৎকালে জেরেমি কলার অ্যানিমেল কনসাসনেস সেন্টার-এর উদ্বোধন প্রাণী চেতনা এবং নৈতিক এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলি বোঝার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কেন্দ্রটি ৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের সাথে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে চেতনা নিয়ে গবেষণা করবে, যার মধ্যে পোকামাকড়, ক্রাস্টেসিয়ান এবং কাটলফিশ অন্তর্ভুক্ত। কেন্দ্রটির লক্ষ্য হল কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের তাদের পোষা প্রাণীদের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করতে পারে, সেইসাথে কৃষিতে এআই-এর নৈতিক প্রভাবগুলিও মোকাবেলা করা।
এই গবেষণা কেন্দ্রে, অধ্যাপক জোনাথন বার্চ, কেন্দ্রের পরিচালক, প্রাণী কল্যাণে ক্ষতি এড়াতে এআই-এর দায়িত্বশীল ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা তৈরি করতে এনজিওগুলির সাথে সহযোগিতা করবে। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ সেবো প্রাণী চেতনা এবং প্রাণীদের উপর এআই-এর প্রভাব বোঝার গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যা আধুনিক সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং উপেক্ষিত চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে অন্যতম। অধ্যাপক ক্রিস্টিন অ্যান্ড্রুজ মনে করেন যে প্রাণী চেতনা অধ্যয়ন আমাদের মানুষের চেতনা বুঝতে এবং স্ট্রোকের মতো চিকিৎসা পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, বিশ্বব্যাপী এআই-এর বাজার ২০২৮ সালের মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। এই তথ্যটি এই ক্ষেত্রে এআই-এর নৈতিক প্রভাবগুলি মোকাবিলা করার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। উপরন্তু, সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৭০% পোষা প্রাণীর মালিক তাদের পশুদের আরও ভালোভাবে বুঝতে চান, যা এআই-ভিত্তিক যোগাযোগের সরঞ্জাম তৈরি করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
জেরেমি কলার বিশ্বাস করেন যে প্রাণীরা কীভাবে অনুভব করে এবং যোগাযোগ করে তা বোঝা মানুষকে তাদের প্রতি পশুদের চিকিৎসার দুর্বলতাগুলি সনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এই কেন্দ্রের কাজ প্রাণী কল্যাণ এবং এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলির নৈতিক ব্যবহারের বিষয়ে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।