জুলাই ২০২৫ মাসে, ওড়িশার কেন্দাপাড়া জেলায় ব্রহ্মণী ও কানি নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর ফলে কুমির আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে রাতে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে তারা ভয় পাচ্ছেন।
আবহাওয়া দপ্তর (IMD) পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২৩ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ সিস্টেমের সৃষ্টি হতে পারে, যা ওড়িশার উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতি কেন্দাপাড়া জেলায় বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC) কুমিরের আক্রমণে আহত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিবেদন (ATR) চেয়েছে। ওড়িশার বনমন্ত্রী কুমির সংরক্ষণে জনসাধারণের সমর্থন চেয়েছেন এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য এর গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বন্যার কারণে কুমির তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা তাদের খাদ্য ও প্রজনন ক্ষেত্রের অভাব সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কুমির সংরক্ষণে সহযোগিতা করা অপরিহার্য।
বন বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে মানুষের জীবন ও পরিবেশ উভয়ই সুরক্ষিত থাকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।